NIKOSH CHAYA REVIEW : HoiChoi তে ভাদুড়ী মহাশয়ের চমকপ্রদ প্রত্যাবর্তন

 

Release Date: 31st October, 2024

Director: Parambrata Chatterjee

Cast: Chiranjeet Chakrabarti, Surangana Bandyopadhyay, Gaurav Chakrabarty, Anindita Bose, Anujoy Chattopadhyay, Kanchan Mallick

Language: Bengali

৩১শে অক্টোবর, কালীপুজোর রাতে হইচইতে মুক্তি পেয়েছে পরমব্রত চট্টোপাধ্যায় পরিচালিত নতুন ওয়েব সিরিজ ‘নিকষ ছায়া’। গত বছরের সফল ‘পর্ণশবরীর শাপ’ এর পর এবারও বর্ষীয়ান অভিনেতা চিরঞ্জিত চক্রবর্তী ফিরে এলেন  নীরেন ভাদুড়ী চরিত্রে। আগের কাহিনীর প্রেক্ষাপটে কাহিনীকার সৌভিক চক্রবর্তী  ‘নিকষ ছায়া’ - নতুন মৌলিক গল্পটি রচনা করেছেন ।

ভয়, মানুষের অন্যতম প্রাচীন প্রবৃত্তি। সেই ভয় ও তন্ত্র সাধনাকে ঘিরেই নির্মিত ‘নিকষ ছায়া’র কাহিনী। গল্পের শুরু হয় নীলগঞ্জ গভর্নমেন্ট হাসপাতালের মর্গ থেকে মৃতদেহ চুরি যাওয়ার রহস্য নিয়ে, যার তদন্তের দায়িত্ব পড়ে পুলিশ অফিসার গৌরব চক্রবর্তী এবং তার সহকর্মীর ওপর। তদন্তের পথ ধরে আসে এক শক্তিশালী তান্ত্রিক 'লোকনাথের'  নাম, যে বারাসাতের গভীর জঙ্গলে অমরত্ব লাভের উদ্দেশ্যে এক পিশাচকে বশ করে মৃতদেহ চুরি করাচ্ছে।

অবস্থা আরও জটিল হয়ে ওঠে যখন ওই এলাকার এক কলেজছাত্রী নিখোঁজ হয় এবং গৌরব, অনিন্দিতা ও সুরঙ্গনার বন্ধু অনুজয়ের রহস্যময় মৃত্যু ঘটে। নীরেন ভাদুড়ী কি পারবেন সেই কলেজছাত্রীকে উদ্ধার করতে এবং শক্তিশালী তান্ত্রিক ভানুর অশুভ শক্তিকে প্রতিহত করতে?

‘পর্ণশবরীর সাপ’ মজবুত ভিত্তির ওপর দাঁড়িয়ে থাকলেও, ‘নিকষ ছায়া’র চিত্রনাট্যে কিছু জায়গায় সংলগ্নতার অভাব লক্ষ্য করা যায়। কাহিনী সংক্ষেপণের প্রচেষ্টায় সম্পাদনায় খুঁত রয়ে গেছে, যা কিছু জায়গায় গল্পের ধারাবাহিকতাকে বিঘ্নিত করেছে। তবে, ক্যামেরা ও লাইটিংয়ের কাজ, বিশেষ করে জঙ্গলের আলোক-ছায়ার ব্যবহার রোমাঞ্চকর এবং ভয়াবহতার আবহ ধরে রাখতে সহায়তা করেছে। চরিত্রগুলোর সম্পর্কের বিন্যাসও সুঠামভাবে ফুটিয়ে তোলা হয়েছে।

তান্ত্রিক লোকনাথের  চরিত্রে কাঞ্চন মল্লিক তার অভিনয় দক্ষতা দিয়ে মন্ত্রমুগ্ধ করেছেন। বিশেষ প্রশংসার দাবি রাখে ভৌতিক মেকআপ ও প্রস্থেটিকস-এর ব্যবহারে সূক্ষ্মতা। হাসপাতালের দৃশ্যগুলোতেও নিখুঁত বিবরণ তুলে ধরা হয়েছে, যা দর্শকের মনের ওপর প্রভাব ফেলবে ।

চিরঞ্জিত চক্রবর্তীর অভিনয় এই সিরিজের অন্যতম শক্তিশালী দিক, তার অনবদ্য চরিত্রায়নে শুভ শক্তির প্রতিষ্ঠা ও অশুভ শক্তির বিনাশের প্রচেষ্টাকে তিনি নিখুঁতভাবে তুলে ধরেছেন। তবে, সিরিজের বিস্তৃত কাহিনী একটিমাত্র সিজনে   সীমাবদ্ধ থাকায় কিছু প্রশ্নের উত্তর এখনও অধরা রয়ে গেছে, যা হয়তো পরবর্তী সিজনে  স্পষ্ট হবে। আশা করা যায়, পরবর্তী পর্বে চিত্রনাট্য ও সম্পাদনায় বিশেষ নজর দেওয়া হবে।

সার্বিকভাবে, ৬টি এপিসোড জুড়ে ২ ঘণ্টার এই গল্প আদ্যন্ত ভয়ের খিদে না মেটালেও, কাহিনীর প্রতিটি টুইস্টে এক টানটান থ্রিলার উত্তেজনা  প্রদান করে। উৎসবের মরশুমে রোমাঞ্চকর এই কাহিনী দেখতে হলে চোখ রাখুন হইচইতে। সিরিজটি আপনাদের কেমন লাগলো তা জানাতে ভুলবেন না কমেন্ট বাক্স এ!

Rating: 3/5

Number of Episodes: 6

Photography Courtesy: Roadshow Films

 

কলকাতার মদনমোহন মন্দিরের ঐতিহাসিক অন্নকূট উৎসব: বাংলার ধর্মীয় ঐতিহ্যের গল্প

 

উত্তর কলকাতার পুরোনো কুমোরটুলি স্ট্রিটের সন্নিকটে অবস্থিত মদন মোহন মন্দির প্রায় ৩০০ বছরের প্রাচীন। সময়ের স্রোতে বয়ে যাওয়া পুরোনো ঠাকুর দালান, প্রাচীন স্তম্ভ, বল রুম এবং শ্বেত পাথরের সিঁড়িগুলি আজ পুরোনো কলকাতার ইতিহাসের প্রতীক। ১৭৬১ সালে সনামধন্য ব্যবসায়ী গোকুল চন্দ্র মিত্র কর্তৃক প্রতিষ্ঠিত এই মন্দিরের সর্বাধিক প্রাচীন ও ঐতিহ্যবাহী উৎসব হলো অন্নকূট।

প্রতি বছর কার্তিক মাসে কালী পুজোর বিসর্জনের পরের দিনটিতে  অন্নকূট উৎসব পালন করা হয়। ভারতবর্ষের বিভিন্ন প্রান্তে এই উৎসবের মাহাত্ম্য ভিন্ন ভিন্ন, প্রতিটি অঞ্চলে এর বিশেষত্ব ও তাৎপর্য রয়েছে।

অন্নকূট উৎসব কি ?

অন্নকূট উৎসব হলো হিন্দু ধর্মের এক বিশেষ পূজা ও উৎসব, যা গোবর্ধন পূজা নামেও পরিচিত। এই উৎসবের  উদযাপনে  ভক্তরা গোবর্ধন পর্বতের পূজা করেন এবং শ্রী কৃষ্ণকে অন্নসহ বিভিন্ন নিরামিষ পদ নিবেদন করেন। কথিত আছে যে,  শ্রী কৃষ্ণ নিজের কনিষ্ঠা আঙ্গুলি দিয়ে  গোবর্ধন পর্বতকে তুলে গ্রামের মানুষদের রক্ষা করেছিলেন, সেই ঘটনার স্মরণে অন্নকূট উৎসব পালিত হয়। ভারতবর্ষের বিভিন্ন প্রান্তে এই দিনে শ্রী কৃষ্ণকে তাঁর প্রিয় ভোজনীয় পদ নিবেদন করা হয় , যাতে থাকে ভাত, রুটি, সবজি, মিষ্টি এবং অন্যান্য নিরামিষ খাদ্যসামগ্রী।

এবছর অন্নকূট উৎসব কবে ?

এই বছর ২ রা নভেম্বর  মহা সাড়ম্বরে অন্নকূট উৎসব ২০২৪ উদযাপিত হবে। 

ভারতবর্ষের কোথায় কোথায় পালিত হয় অন্নকূট উৎসব?

বারাণসীর অন্নপূর্ণা মন্দিরে মহাসমারোহে পালিত হয় অন্নকূট উৎসব। এটি অন্নপূর্ণা মন্দিরের অন্যতম প্রধান উৎসব। এই দিনে মন্দির প্রাঙ্গণ ফুল এবং আলোকসজ্জায় সুসজ্জিত হয়ে ওঠে। শহরের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে ভক্তরা সমবেত হন এবং প্রসাদ বিতরণে অংশগ্রহণ করেন। বারাণসী ছাড়াও, ইসকন দ্বারকা, ইসকন জুহু মুম্বাই, শ্রী স্বামীনারায়ণ মন্দির ভাবনগর এবং স্বামীনারায়ণ মন্দির সারাংপুরেও অন্নকূট উৎসব উদযাপিত হয়।

পশ্চিমবঙ্গে, কলকাতার মদনমোহন মন্দিরে স্থাপনের সময় থেকেই অন্নকূট উৎসব উদযাপন শুরু হয়েছিল, যা সত্যিই প্রাচীন ঐতিহ্যের সাক্ষ্য বহন করে। আসুন, আজ কলকাতার এই প্রাচীন মন্দিরে উদযাপিত অন্নকূট উৎসবের মাহাত্ম্যের গল্প শুনি -

কলকাতার মদন মোহন মন্দির এর ইতিকথা :

উত্তর কলকাতার রবীন্দ্র সরণিতে অবস্থিত মদনমোহন মন্দির একটি শতাব্দী প্রাচীন তীর্থস্থান। প্রতিষ্ঠাতা গোকুল চন্দ্র মিত্র এবং তাঁর উত্তরপুরুষেরা সাত প্রজন্ম ধরে দেবতার (মদনমোহন) পূজা ও মন্দিরের যাবতীয় আচার অনুষ্ঠান পরম্পরাগতভাবে পালন করে আসছেন। ৫ বিঘা জমির উপর প্রতিষ্ঠিত এই মন্দির প্রাঙ্গণে  মূল মন্দির ছাড়াও নাট মন্দির, রাশমঞ্চ, ঠাকুর দালান ইত্যাদি রয়েছে, যা আজও উত্তর কলকাতার ঐতিহ্য বহন করে চলছে। মন্দিরের গর্ভগৃহে মদনমোহন, রাধিকা এবং তাঁর দুই সখি ললিতা ও বিশাখার মূর্তি প্রতিষ্ঠিত আছে, যাঁদের নিত্য পূজা এখানে অনুষ্ঠিত হয়।

মদনমোহন দেবতার ইতিহাস যুক্ত বিষ্ণুপুরের মল্ল রাজবংশের সঙ্গে। মদনমোহনের মূর্তিটি প্রায় ৫০০ বছরের পুরনো বলে ধারণা করা হয়। এক সময় এটি দরিদ্র ব্রাহ্মণ পুরোহিত ধরণীর কাছে ছিল, যিনি বিষ্ণুপুরের জঙ্গলে বসবাস করতেন। শিকারে বেরিয়ে রাজা বীর হাম্বির (১৫৯১-১৬১৬) এই মূর্তির সৌন্দর্যে মুগ্ধ  হন এবং ব্রাহ্মণের কাছে মূর্তিটি চেয়ে নেন। ব্রাহ্মণ রাজি না হওয়ায় রাজা মূর্তিটি চুরি করে নিজের রাজ্যে প্রতিষ্ঠা করেন। প্রায় শত বছর পর ১৬৯৪ সালে মল্ল রাজা দুর্জন সিংহ বিষ্ণুপুরে মদনমোহনের মন্দির নির্মাণ করেন।

রাজা গোপাল সিংহের শাসনকালে (১৭৩০-১৭৪৫) মারাঠা সৈন্যরা ভাস্কর রাওয়ের নেতৃত্বে মল্ল রাজ্য আক্রমণ করে। গোপাল সিংহ তাঁর প্রজাদের বিষ্ণুপুর দুর্গের ভিতরে আশ্রয় দিয়ে মদনমোহনের নাম জপ করতে বলেন। স্থানীয় মানুষ বিশ্বাস করেন, মদনমোহন ই স্বয়ং সেই রাতে তাদের  পূর্বপুরুষদের রক্ষা করেছিলেন।

১৭৭০ সালে রাজ্যে ভয়াবহ দুর্ভিক্ষ দেখা দেয়, যখন রাজকোষ প্রায় শূন্য। রাজা চৈতন্য সিংহ তখন মল্ল রাজ্যের রাজা, যিনি ধর্মপ্রাণ এবং ভক্তিমূলক কাজে নিমগ্ন ছিলেন। এই সময়ে, তাঁর অনুপস্থিতিতে তাঁর মন্ত্রী কমল বিশ্বাস রাজ্য পরিচালনা করতেন। এই সুযোগে চৈতন্যের খুড়তুতো  ভাই দামোদর সিংহ সিরাজ-উদ-দৌলার সহায়তায় বিষ্ণুপুর আক্রমণ করেন এবং চৈতন্যকে পরাজিত করে বিষ্ণুপুরের সিংহাসন দখল করেন। চৈতন্য সিংহ পালিয়ে কলকাতায় ব্রিটিশদের কাছে বিচার প্রার্থনা করতে আসেন।

পলায়নের সময় চৈতন্য সিংহ তাঁর আরাধ্য দেবতা মদনমোহনের মূর্তি সঙ্গে নিয়ে আসেন। ব্রিটিশ শাসিত কলকাতায় মামলার খরচ চালানোর জন্য অর্থের প্রয়োজন হলে তিনি বাগবাজারের গোকুল চন্দ্র মিত্রের কাছে ১.৩ লাখ টাকার বিনিময়ে মূর্তিটি বন্ধক রাখেন। তাঁদের মধ্যে চুক্তি ছিল যে চৈতন্য সিংহ ঋণ পরিশোধ করার পর মূর্তিটি ফিরে পাবেন। তবে অনেকে বিশ্বাস করেন, চৈতন্য ঋণ পরিশোধে ব্যর্থ হলে গোকুল মিত্র মূর্তিটি ফেরত দেননি এবং পরে রাধিকার মূর্তিও স্থাপন করেন।

কিছুজন মনে করেন, চৈতন্য সিংহ ঋণ পরিশোধ করলেও গোকুল মিত্র তাঁকে প্রতিরূপ মূর্তি ফিরিয়ে দেন। আবার কেউ কেউ বিশ্বাস করেন, গোকুল মিত্র এক রাতে স্বপ্নে মদনমোহনকে দেখতে পান, যিনি জানান যে তিনি তাঁর বাসস্থান ছেড়ে বিষ্ণুপুরে ফিরতে চান। তবে প্রতি বছর কালীপুজোর পরের দিন অন্নকূটের সময় তিনি মাছির রূপ ধরে কলকাতার মন্দিরে আসবেন। সেই থেকে আজও কলকাতার মদনমোহন মন্দিরে অন্নকূট উৎসব উদ্‌যাপিত হয়ে আসছে মহাসমারোহে।উল্লেখ্য , এই কারণেই আজ এই দিনটি তে বিষ্ণুপুরের মদন মোহন মন্দির টি বন্ধ রাখা হয়। 

মদনমোহনে ভোগ নিবেদনের নিয়মাবলী

অন্নকূট উৎসব উপলক্ষে মদনমোহন ঠাকুরকে ৭ মন চালের পোলাও, খিচুড়ি , সাদা অন্ন এবং পায়েসের সাথে নানারকম ভাজাভুজি, মিষ্টান্ন এবং নিরামিষ তরকারির ভোগ নিবেদন করা হয়। এই উৎসবের মূল ভোগ হিসেবে পুই শাকের ভূমিকা বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ।

পুই শাক মূল ভোগ হিসাবে প্রচলিত হওয়ার পেছনে মিত্র পরিবারের একটি কাহিনী রয়েছে। একবার এক ভক্ত মদন মোহনের জন্য পুই শাকের তরকারি রান্না করে মন্দিরে নিয়ে আসেন। কিন্তু  সেই দিনের মতন মন্দির  তখন বন্ধ হয়ে গেছে  । দুঃখিত মনে সেই ভক্ত তরকারিটি মন্দিরের সিংহদ্বারে রেখেই  ফিরে যান। পরের দিন মন্দির খোলার পর দেখা যায়, মদনমোহনের মূর্তির হাত-মুখে পুই শাকের খাবার অংশ  লেগে রয়েছে। এই অবিশ্বাস্য  ঘটনার পর মন্দিরের প্রতিষ্ঠাতা গোকুল মিত্র মহাশয় অন্নকূটের ভোগে পুই শাক অন্তর্ভুক্ত করেন, যা আজও পূজার অন্যতম প্রধান ভোগ হিসাবে নিবেদন করা হয় ।

অন্নকূটের মহা প্রসাদ কিভাবে পাবেন ?

অন্নকূট উৎসবের দিন মধ্যাহ্নে মিত্র পরিবারের ঐতিহ্য অনুযায়ী মূল মন্দিরের দ্বিতল বারান্দা থেকে "চাঁদনী" প্রথায় ভক্তদের মধ্যে পরমান্ন ছুড়ে বিতরণ করা হয়। শত শত ভক্ত মন্দির প্রাঙ্গণ এবং চিৎপুর ট্রামলাইন জুড়ে কাপড়ের আঁচল, ছাতা ইত্যাদি দিয়ে প্রসাদ সংগ্রহ করেন। প্রায় তিন শতাব্দী ধরে চলে আসা এই প্রথা আজও মিত্র পরিবারের সপ্তম প্রজন্মের মাধ্যমে জীবিত রয়েছে।

চাঁদনী প্রথা শেষ হলে ভক্তদের হাতে হাতে শালপাতার থালায় ঠাকুরের মূল ভোগ—পুঁই শাক সহযোগে অন্ন—বিতরণ করা হয়।

মদন মোহন মন্দিরে যাবেন কিভাবে?

ঠিকানা : ৫২০,রবীন্দ্র সারণি , বাগবাজার, কুমারটুলি , কলকাতা - ৭০০০০৫

গুগল ম্যাপ অনুসরণ করুন ।

মন্দির দর্শনের সময় : দিবা ৬টা - ১২ টা এবং বিকাল ৪টে- ৮: ৩০ টা (প্রতিদিন) 

উপসংহার

মদনমোহন মন্দিরকে ঐতিহ্যবাহী হিন্দু মন্দিরের সাথে তুলনা করা চলে না। এটি বরং ইউরোপীয় শৈলীতে নির্মিত এক প্রাসাদোপম স্থাপত্যের সঙ্গে তুলনীয়। বিশাল কাঠের দরজা পেরিয়ে দ্বিতল ভবনের ভেতরে প্রবেশ করলেই বিস্তৃত উঠানের মাঝে বিশাল স্তম্ভগুলো দর্শকের চোখে মুগ্ধতা আনে। শ্বেত পাথরের সিঁড়ি বেয়ে ওপরে উঠতেই সুবিশাল বলরুমে রৌপ্য সিংহাসনে অধিষ্ঠিত  মদন মোহনের মূর্তি দর্শন সত্যিই এক স্বর্গীয় অনুভূতি এনে দেয়।

অন্নকূট উৎসব উপলক্ষে এই বিশেষ দিনে পশ্চিমবঙ্গের প্রায় প্রতিটি জেলা থেকে শতাধিক ভক্তের সমাগম ঘটে মন্দির প্রাঙ্গণে। তাঁরা পুজো দেন, প্রসাদ গ্রহণ করেন এবং মানত রাখেন। অন্নকূট ছাড়াও মন্দিরে ঝুলন, রাশযাত্রা, ফুলদোল, দোল পূর্ণিমা প্রভৃতি উৎসব সাড়ম্বরে পালিত হয়। বিশেষত,  রাশযাত্রায় ঠাকুরের নাটমন্দিরে আরোহন উপভোগ্য এক অনন্য দৃশ্য, যা ভক্তদের বিভোর করে তোলে।

ঠাকুর শ্রী রামকৃষ্ণের পদধন্য এই মন্দির ও তার আশপাশের এলাকা ধীরে ধীরে সেজে উঠছে অন্নকূট উৎসব ও মেলা উদযাপনের জন্য। উল্লেখ্য, ১৮৯৩ সালে শিকাগো ধর্মসভা থেকে ফিরে এসে স্বামী বিবেকানন্দ এই মন্দিরের ঠাকুর দালানে দাঁড়িয়ে তাঁর অভিজ্ঞতা সর্বপ্রথম বাংলার মানুষদের সাথে ভাগ করে নিয়েছিলেন।

অন্নকূট এর এই  পুণ্য তিথিতে  আসুন আমরা সকলে মিলে মদন মোহনের আশীর্বাদ প্রার্থনা করে অন্নকূট উৎসব ২০২৪  উদযাপন করি!

Disclaimer
This blog has been crafted using information from Google & various sources, so if you spot any factual errors, please inform me, and I will rectify them. 

হইচই-এ পাওলি দামের প্রথম মুখ্য চরিত্রে আত্মপ্রকাশ: "কাবেরীর" সাহসী সংগ্রাম

REVIEW: KABERI

Release Date: 8th October, 2024

Director: Souvik Kundu

Cast: Paoli Dam, Sourav Chakraborty, Beas Dhar, Shankar Debnath, Prantik Banerjee, Bidipta Chakraborty, Chandan Sen, Phalguni Chatterjee

Language: Bengali

সাম্প্রতিক মুক্তিপ্রাপ্ত কাবেরী ওয়েব সিরিজে পাওলি দামের অভিনয়ে এক নতুন দিকের অনন্য প্রকাশ ঘটেছে। এর আগেও ‘কর্ম যুদ্ধ’ ও ‘বুলবুল’ এর মতো জাতীয় স্তরের ওটিটি প্ল্যাটফর্মে তার অভিনয় সমালোচকদের প্রশংসা কুড়িয়েছে। এবার সৌভিক কুণ্ডু পরিচালিত  ‘কাবেরী’তে এক ভীত নারীর প্রতিবাদী হয়ে ওঠার গল্প ফুটিয়ে তুলেছেন তিনি।

চরম পরিস্থিতিতে দাঁড়িয়ে নিজের ভয়কে জয় করার গল্প ‘কাবেরী’। পেশায় গণিত শিক্ষিকা কাবেরীর ব্যক্তিগত জীবন ভয়ানক দুঃখ-যন্ত্রণায় পূর্ণ। পুলিশ অফিসার স্বামী অনীশ (সৌরভ চক্রবর্তী) ও শাশুড়ির অত্যাচারে জর্জরিত কাবেরী মফস্বলে গিয়ে এক নতুন জীবন শুরু করেন। স্কুলের ছাত্রীদের মাঝে ভীতু কাবেরী ম্যাডাম ধীরে ধীরে মানিয়ে নিতে শুরু করেন, আর তখনই এক দস্যি ছাত্রী ও ক্যারাটে চ্যাম্পিয়ন শম্পার মধ্যে খুঁজে পান নিজের হারানো সন্তানের প্রতিচ্ছবি । সদ্য সন্তানহারা কাবেরীর কাছে শম্পা হয়ে ওঠে তার মাতৃত্বের প্রতীক।

ম্যাডামের স্নেহের পরশে শম্পা একজন দায়িত্বশীল ছাত্রীতে পরিণত হয়। ক্যারাটে প্রশিক্ষণের জন্য সে এক নামি প্রশিক্ষণ কেন্দ্রে ভর্তি হলে ঘটে এক অপ্রত্যাশিত ঘটনা—সহ-প্রতিযোগী মনিকা গোমেজের হত্যার অভিযোগে ফেঁসে যায় সে। কিন্তু শম্পা কি আদৌ খুনি? নাকি এটি এক ষড়যন্ত্রের ফল? মাতৃরূপে কাবেরী কি পারবে শম্পাকে এই জাল থেকে মুক্ত করতে?

সৌভিক পরিচালিত এই ওয়েব সিরিজটি থ্রিলারের সঙ্গে একটি মর্মস্পর্শী কাহিনীকে সুন্দরভাবে উপস্থাপন করেছে। চিত্রনাট্যের গতি কিছুটা ধীর হলেও গল্পের বাঁকগুলি দেখতে পুরো সাতটি পর্বই দর্শকদের অপেক্ষায় রাখতে বাধ্য করবে । ভীতু কাবেরী থেকে প্রতিবাদী নারীতে রূপান্তরের মধ্য দিয়ে পাওলি বর্তমান নারীদের জন্য এক অনুপ্রেরণা সৃষ্টি করেছেন। শম্পার চরিত্রে বিয়াস ধরের শিশুসুলভ মনোমুগ্ধকর অভিনয় ও সৌরভের অনীশ চরিত্রটি গার্হস্থ্য নির্যাতনের ভয়াবহ রূপ প্রকাশ করেছে। সাংবাদিক প্রান্তিকের চরিত্রটি ভবিষ্যতে আরো বিশদে তুলে ধরা হলে নতুন মাত্রা যোগ হবে।

ফাল্গুনী চ্যাটার্জী ও চন্দন সেনের মতো বর্ষীয়ান অভিনেতাদের উপস্থিতি কাহিনীতে বিশেষ মাত্রা এনেছে। দুর্নীতিগ্রস্ত রাজনীতিবিদ চরিত্রে শঙ্কর দেবনাথ তার দক্ষতা প্রমাণ করেছেন। আইনজীবী বিদীপ্তা চ্যাটার্জীর সাবলীল ও দৃঢ় অভিনয়ও উল্লেখযোগ্য।

সব মিলিয়ে ‘কাবেরী’ শুধু একটি ওয়েব সিরিজ নয়; বরং সমসাময়িক ঘটনাবলির প্রেক্ষাপটে এক সাহসী উপাখ্যান , যা চিত্তাকর্ষক তো বটেই তবে চিন্তার উদ্দীপক ও!

Rating (Out of Five): ***

Number of Episodes: 7

Photography Courtesy: t2ONLINE

Kali Puja 2024: 8 Must Visited Kali Temples in Kolkata

 

Do you feel a sense of sadness after Durga Puja? It’s understandable — the festivities seemed to end too soon this year. Are there still new clothes left unworn? Well, it's time to gear up again! The next big festival, Kali Puja 2024, is just around the corner, and the excitement is building up across Bengal and beyond. Celebrated widely in eastern India — particularly in Kolkata, Assam, Tripura, Jharkhand, and Odisha — Kali Puja is another vibrant and spiritually significant event for Bengalis.

This year, Kali Puja will take place on Thursday, October 31, 2024, offering devotees a fresh opportunity to immerse themselves in the divine blessings of Maa Kali, the fierce incarnation of Maa Durga. She is worshipped after Kojagori Laxmi Puja in West Bengal, and devotees believe Maa Kali protects her children, granting them spiritual growth and courage.

While Kolkata's renowned club pandals are popular destinations for Kali Puja, the city is also home to many ancient Kali temples where the goddess is worshipped with grandeur and devotion on this auspicious day. If you’re seeking the blessings of the Mother this Kali Puja, let’s explore 8 must-visit Kali temples in Kolkata for 2024!

Daksineswar Temple

Located on the banks of the Ganga, Dakshineswar Kali Temple was built in 1855 by Rani Rashmoni. Dedicated to Maa Bhavatarini, an incarnation of Goddess Kali, this nine-spired temple holds deep spiritual significance. It is closely associated with Ramakrishna Paramahansa Deb, who served as the head priest and preached religious harmony. His room in the temple is also a must-visit for devotees, offering insight into his life and teachings.

Time: 5am to 8pm (every day)

Location: May Dibas Pally, Dakshineswar. Follow Google Maps.

Sidheswari Temple

Sidheswari Kali Temple is often called the home of "Kolkata’s Ginni". It was established by a Kali devotee from the Himalayas, who had a vision of a Shakti Peeth in Kolkata. He created the idol using twigs, soil, and leaves, placing it near the Adi Ganga in Kumortuli. The Chakraborty family initially continued the worship, and today, the Mukherjee family maintains the tradition. Ramakrishna Paramahansa Deb frequently visited, offering coconuts and sugar to Maa Kali. Don't miss this temple during Kali Puja 2024.

Time: 6am to 12pm & 4pm to 9:30pm (everyday)

Location: 520, Rabindra Sarani, Kumartuli, Kolkata. Follow Google Maps.

Thanthania Kali Bari

Thanthania Kali Bari, established in 1809 by Shankar Ghosh, is one of Kolkata's oldest temples, though the deity is believed to be even older. The temple holds spiritual significance as both Ramakrishna Paramahansa Deb and Sadhak Ramprasad Sen visited here. Kali Puja, especially on Diwali, attracts huge crowds eager for Maa Kali's blessings. Devotees also visit on Tuesdays and Saturdays, and Prasadam is available after the evening prayer for those with tokens.
Time: 6am-11am & pm- 8pm  (every day)

Location: Bidhan Sarani Road, Near College Street Market.  Kolkata. Follow Google Maps.

Firinghi Kali Bari

Firinghi Kali Bari in Bowbazar is one of Kolkata's oldest and most popular Kali temples. Established in the 905 Bengali year by Srimanta Dom, it was initially worshipped by the founder himself, as priests refused due to his lower caste status. Another belief links the temple to Antony Firinghi, a famous Bengali folk poet (Kabial) who converted to Hinduism and was a devotee of Maa Kali. This historic temple, named after him, remains a significant spiritual site, especially during Kali Puja.

Time: 6am-8pm (Everyday)

Location: 244 Bipin Bihari Ganguly Street. Kolkata. Follow Google Maps.

Lake Kali Bari

Lake Kali Bari, located in South Kolkata, is also known as 108 Karunamoyee Kali Mata Mandir, after the presiding deity Maa Karunamoyee. Founded in 1949 by Haripada Chakraborty and managed by the Karunamoyee Kalimata Trust, the temple stands 42.5 feet tall. It houses a museum, seminar hall, auditorium, guest house, and medical center. Besides worship, the temple is a hub for social, religious, and educational discussions. Devotees can also avail of free health check-ups at the medical center.

Time: 6am-12:30 pm & 3:30pm- 9pm (every day)

Location: 107/1, Dr Meghnad Saha Sarani, Kolkata. Follow Google Maps.

Kalighat Kali Temple

Located in South Kolkata, Kalighat Kali Temple is one of the most powerful temples in Kolkata and a key part of the Shakti Peeth pilgrimage. It is believed that Maa Sati’s toe fell here, making it one of Bengal’s sacred sites. The original temple, built in the 16th century by King Manasingha, was a small hut-shaped structure. The present temple was constructed by the Sabarna Roy Chowdhury family in 1809. Devotees can purchase flowers and sweets from nearby shops for puja purposes and pre-book Prasadam. The adjacent Adi Ganga River adds to the temple's ancient significance.

Time: 5am to 2pm & 5pm- 10:30pm (everyday)

Location: Anami Sangha, Kalighat, Kolkata. Follow  Google Maps.

Sri Sri Karunamoyee Kali Temple

Sri Sri Karunamoyee Kali Temple, located in Tollygunge, Kolkata, is nearly 250 years old and was established by Nandadulal Roy Chowdhury. In this temple, Maa Kali is worshipped in the form of Karunakali, symbolizing kindness and mercy. During Kali Puja 2024, visiting this temple offers a serene opportunity to seek blessings from the divine.

Time: 7:30am-12pm & 5:30pm- 8:30pm (every day)

Location: 32, Mahatma Gandhi Road, Tollygunge, Kolkata. Follow Google Maps.

Tripura Sundari Temple

Tripura Sundari Temple, located in Garia, Kolkata, is a revered spiritual site and a popular destination for both tourists and local pilgrims. The temple attracts many devotees each year, all seeking the blessings of Devi Tripura Sundari. Known for its serene atmosphere and religious significance, it is an ideal place to visit, especially during festival times like Kali Puja when the temple becomes even more vibrant with devotion.

Time: 6am to 9pm 

Location: Boral Main Road, Sharat Pally, Ramkrishna Nagar, Prantik Pally, Garia, Kolkata. Follow Google Maps.

Bottom Line

Bengal is renowned for its exquisite temple architecture, dating back to ancient times. Goddess Kali is celebrated for her fierce protection of devotees, and Kali Puja serves as a powerful means to seek blessings for strength, wisdom, and liberation from negative influences.

After indulging in the vibrant pandal hopping during this year's Durga Puja, why not explore the magnificent Kali Temples in Kolkata during Kali Puja 2024? Embrace the rich heritage and spiritual ambiance of these ancient sites, and connect with the divine energy they offer.

The Sacred Dhuno Porano of Dwarka Bhaban, Kolkata: A Bengali Cultural Heritage

 

Dwarka Bhaban,  also known as Thanthania Dutta Bari, located in Kolkata, West Bengal, hosts a unique and sacred ritual known as Dhuno Porano during the Durga Puja celebrations on Ashtami. This ritual, deeply rooted in Bengali tradition, draws locals and visitors alike for its mesmerizing customs and spiritual significance. While many Bonedi Barir Durga Pujas (traditional aristocratic house Durga Pujas) in Bengal involve a single, often eldest woman of the family performing this ritual, Dwarika Bhawan has a distinct approach. Here, all married women who have taken the vow (Diksha Mantra) are allowed to participate, praying for the well-being of their children and families.

Bonedi Barir Durga Pujas carry the weight of Bengal’s cultural heritage, and Dwarka Bhaban is no exception. In addition to Dhuno Porano on Ashtami, they also perform Kumari Puja on Navami, adhering to their long-standing traditions. Let’s delve into this unique custom at Dwarka Bhaban, Kolkata, and its fascinating history.

Origins of Dwarika Bhawan’s Durga Puja

In 1855, the renowned Bengali merchant Dwarika Nath Dutta began the tradition of Durga Puja in his home after a vivid dream.  The Dutta family of College Street places the idol of Goddess Durga on the lap of Lord Shiva, symbolizing her as the daughter of the household, receiving all the familial love and hospitality during the festival.

Mesmerizing Dhuno Porano Ritual

Dhuno Porano is a powerful ritual centered around fire, performed by the married women of this family. In earlier times, the women would drape themselves in a single piece of new saree, with no stitched clothes allowed, to participate in the ceremony. However, with time, the dress code has been relaxed, and now the women are adorned in traditional attire—new sarees, blouses, nose pins (noth), and anklets (mol)—as they sit with folded legs, hands resting on their laps, ready for the ritual.

In the Dhuno Porano ceremony, a large mud pot (malsha) is placed on each woman’s head over a wrapped cloth (gamcha), while two smaller earthen pots (swara) are balanced on their hands. The men of the household, dressed in traditional dhoti and silk garments (cheli), actively participate in the ritual, helping prepare the sacred fire.

The pots are filled with straw and frankincense (dhuno), which are then lit, while the priest chants sacred mantras. As the fire burns brightly, the women offer prayers to Goddess Durga, seeking blessings for the peace, prosperity, and protection of their families. After the ritual is complete, family members, especially the children, sit on the women’s laps, touch their feet, and seek their blessings.

Symbolism and Spiritual Significance

The Dhuno Porano ritual is a deeply symbolic act, where the women, standing as the epitome of strength, pray in front of the blazing fire for the protection and well-being of their families. It reflects the divine power of motherhood and womanhood, drawing parallels between the participants and Goddess Durga herself, who is the ultimate embodiment of strength (Shakti). Watching this beautiful ritual unfold is a sight to behold—one that captures the essence of Bengali culture and devotion.

Keeping Tradition Alive

Even today, Dwarka Bhaban maintains its rich Bengali traditions with dedication and enthusiasm. The family, along with their guests, gather each year under the same roof to celebrate Durga Puja, as though the Mother Goddess herself calls them home. For those living outside Kolkata, the pull of tradition is so strong that they return to witness these sacred rituals.

Bottom Line

If you get the opportunity to visit Dwarka Bhaban during Durga Puja, don’t miss the Dhuno Porano ritual on Ashtami. It’s not only an experience of devotion but also a chance to purify your body and soul through the power of fire. Be sure to capture a moment of this incredible tradition, which is as spiritually enriching as it is visually captivating.

Probashe Pujo 2024: Celebrating Durga Pujo Abroad with Bengali Traditions

 

Durga Puja is more than just a festival for Bengalis—it’s the heartbeat of our culture, a tradition steeped in devotion and community. For every Bengali, the rhythmic beats of the dhak, the soulful chants of the Anjali, and the mystical aura of Sandhi Puja hold an irreplaceable charm. These elements aren’t just part of a celebration; they’re woven into our identity, reminding us of home, heritage, and the joy of shared moments. But things have taken a different turn this year for many of us.

For the first time, we are away from the familiar warmth of our home and family’s Durga Puja celebrations, experiencing this sacred festival in a foreign land. The laughter, the comforting chaos of our family, and the shared joy of community feel like they are worlds away. And yet, in this new experience, we find a bittersweet charm, a way to stay connected to the essence of home while embracing a new chapter. Watching the home festivities unfold on Facebook Live, nostalgia blends with the thrill of being part of something bigger—Probashe Durga Pujo (Durga Puja abroad).

A New Experience: Durga Puja in the US

As the weekend rolls in, so does the excitement of our very first Probashe Pujo. It’s Friday evening, October 11th, while Kolkata gears up for Mahaashtami & Nabami, we prepare to recreate the magic of Durga Puja in Nashville. The Bengali Association of Greater Nashville (BAGN) organized this Puja at the city’s only Hindu temple—the Ganesh Temple.

This temple, with its intricate architecture, serves as a reminder of the spiritual connection we carry, even in a foreign land. Durga Puja here is typically celebrated over weekends, aligning with the schedules of the Bengali diaspora. This year, the festivities started on October 11th, a Friday, allowing us to condense the five days of Puja—Sasthi, Saptami, Ashtami, Navami, & Bijoya Dasami—into two action-packed days over the weekend.

An Overseas Tradition: Fiberglass Idols & Community Spirit

The Puja may be oceans away from Bengal, but the devotion and care in the preparations are no less intense. The idol of Goddess Durga, crafted from fiberglass, is brought all the way from India, arriving at least a month in advance. This carefully designed idol is a feat of engineering as much as art—it’s screw-based and assembled before the Puja begins, ready to be disassembled after the festivities. Since immersion (Visarjan) in water isn’t possible, the idol awaits its next celebration with eager anticipation for the coming year.

Bengali families from all over Nashville come together to organize and sponsor the Puja. Each day of the Puja is sponsored by a family, keeping alive the tradition of community support that is central to any Durga Puja. Senior Bengali Brahmins, who have become the custodians of this tradition, lead the rituals. Their recitations of Chandipath, the sacred hymns dedicated to Goddess Durga, reverberate through the temple, transporting everyone back to the thakurdalan (ritual space) of their ancestral homes.

Rituals That Keep Tradition Alive

The most auspicious ritual, Pushpanjali (offering of flowers), retains its importance even in the U.S., where Bengali families gather to uphold tradition. Much like the Maha Ashtami Anjali, devotees here assemble with flowers and bel leaves, offering their heartfelt prayers to the goddess. The air is filled with reverence, and for that moment, it feels as if the distance between two worlds is bridged, bringing a sense of home to those far away. 

The celebrations begin with Bodhon on Friday (11^th October), marking the formal start of the Puja, followed by the main rituals—Maha Saptami, Maha Ashtami, & Maha Nabami—which take place the next day (Saturday, 12^th October). This year, the Durga Puja 2024 culminates on Sunday, 13th October, with the Dashami Puja, signifying the completion of the festival.

As the day progresses, the festive spirit continues with cultural programs, echoing the essence of Bengali Puja celebrations. Music, dance, and drama take center stage, with children and adults alike participating, adding their unique flavor to the Puja.

The Festive Vibe: Traditional Attire & Delicious Prasadam

For many, one of the highlights of Durga Puja is the chance to dress up in traditional attire. Men don dhoti and kurta, while women drape themselves in elegant sarees adorned with intricate jewelry. The Agomoni songs (songs heralding the arrival of Goddess Durga) play in the background as families gather, taking in the joyous energy of the festival.

And what’s a Bengali celebration without food?

The Prasadam, lovingly prepared by the community, is nothing short of divine. The spread includes khichuri (a savory rice and lentil dish), sabji (vegetables), chutney, and payesh (oats pudding). Each bite is a reminder of home and the shared joy of community feasting.

Culmination in Sindur Khela & Bijoya Sommeloni

The grand finale of Durga Puja, Sindur Khela—where women smear each other with vermillion—is as emotional here as it is back in Bengal. It marks the bittersweet moment of bidding farewell to the goddess, with blessings for the coming year. The festivities close with Misti Mukh (sharing of sweets) and the Bijoya Sommeloni, where an eminent singer from India serenades the gathering. It’s a moment to greet and embrace each other, to reflect on the bonds that this festival strengthens even when celebrated far from home.

As the weekend draws to a close, Bengali families in Nashville return to their regular routines, but with hearts full of warmth and blessings from the goddess. The Probashe Durga Puja may take place over a weekend, but its impact lingers long after. It becomes a beacon of cultural pride, a reminder that no matter where life takes us, the love for Durga Puja remains unchanged.

In the coming year, as the Bengalis here await the next Durga Puja, they’ll cherish the memories of this year’s gathering—knowing that no matter where they are in the world, Durga Puja will always be a homecoming of the heart.

Subho Bijoya Dashami & Happy Dussehra! Sending blessings to all. Stay connected to our Probashi family -Life Explorer Team and cherished traditions!

 

The Uncommon Leader: How Ratan Tata Shaped Modern India

On Wednesday, October 9th, 2024, India bid farewell to one of its greatest visionaries, Ratan Naval Tata, who passed away at Beach Candy Hospital in South Mumbai. At 86, the legendary chairman of the Tata Group left behind a legacy that forever transformed the country’s industrial, technological, and philanthropic landscape.

A recipient of the Padma Bhushan and Padma Vibhushan, Ratan Tata was more than a business titan—a symbol of integrity, humility, and innovation. As chairman of the Tata Group, a role he assumed in 1991, Tata revolutionized the salt-to-software conglomerate and positioned it as a global powerhouse. His leadership was a driving force that elevated the Tata Group and played a pivotal role in shaping modern India.

Taking charge during India’s economic liberalization, Ratan Tata’s forward-thinking leadership ushered in a new era for Indian business. Under his guidance, Tata Group expanded globally with landmark acquisitions like Tetley, Corus Steel, and Jaguar Land Rover. These moves demonstrated Tata’s keen understanding of international markets and ability to turn challenges into opportunities.

From scaling Tata Consultancy Services into a global IT leader to launching the Tata Nano—a car designed to make mobility affordable for millions—his vision was always about empowering the masses and strengthening the Indian economy. Tata’s leadership was instrumental in ensuring India's growing presence on the global stage.

Beyond his monumental business contributions, Ratan Tata was a man of immense compassion. His love for animals was well-known, with several projects reflecting his affection for them. A skilled pilot, Tata flew an F-16 Falcon at the age of 69, showcasing his adventurous spirit. He also renovated Bombay House, Tata Group’s headquarters, to include a kennel for stray dogs, and spearheaded the development of a specialized pet care hospital in Mahalaxmi.

Tata’s compassion extended to people as well. He mentored young entrepreneurs and sponsored Santanu Naidu’s Goodfellows, a start-up that provided companionship to senior citizens. These initiatives highlighted Tata’s belief in community-driven solutions and his concern for India’s aging population.

Ratan Tata’s journey began in 1962 when he joined the Tata Group in various roles. Born to Naval Tata, he was educated at Cornell University in architecture and later attended Harvard Business School, completing the Advanced Management Program in 1975. By 1981, he was chairman of Tata Industries, where he transformed the company into a strategic think tank and high-tech incubator.

Tata’s visionary leadership was built on transparency, corporate governance, and ethical decision-making. He led Tata Group through challenging times, including projects like Tata Nano and the acquisition of Corus Steel, with unwavering grace. His humanitarian work, especially in disaster relief efforts, further solidified his legacy as a compassionate leader.

Even in his final days, Ratan Tata remained a humble figure. Just days before his passing, he reassured the public that his health checkups were routine. Yet, on Wednesday, October 9th, at 11:30 PM, India lost a true guiding light.

Ratan Tata will be remembered not only for his business brilliance but also for his profound contributions to humanity. His life was one of commitment, excellence, and compassion. India has lost an extraordinary leader, but Ratan Tata's legacy will continue to inspire and guide future generations.

Rest in peace, Ratan Tata—your wisdom, compassion, and leadership will forever be a guiding light.

 

 

Discover Mumbai: 10 Best Places to Explore During the Puja Holidays

 

Are you considering traveling to a new destination with the Puja holidays just around the corner? Why not visit the city of dreams – Mumbai! Known for its vibrant energy and mesmerizing charm, Mumbai is more than just India’s business hub. It captivates countless travelers every year with its unique blend of beaches, caves, temples, and bustling marketplaces.

This blog will take you through the top 10 must-visit places in Mumbai, ensuring you make the most of your Puja vacation. Ready to explore?

Gateway of India

Begin your Mumbai journey with the iconic Gateway of India. Constructed in 1924 in the grand Indo-Saracenic architectural style, this monumental structure was built to commemorate the arrival of King George V and Queen Mary in Bombay. A ferry ride from the Gateway is one of the best ways to take in the breathtaking views of the monument against the backdrop of the Arabian Sea.

While you're there, treat yourself to some of Mumbai’s famous street food, such as the delicious kebabs sold by local vendors. From this spot, you can also admire the stunning Taj Mahal Palace Hotel, a symbol of Mumbai’s timeless grandeur.

Nariman Point

Known as the "Manhattan of Mumbai," Nariman Point is not only a top tourist destination in Mumbai but also one of the most affluent areas in the city. As India’s third-largest business hub, it is located near key landmarks like the Indian Naval Base, Marine Drive, and the Gateway of India. The area gained popularity in the 1940s when Congress leader Khursheed Nariman first reclaimed the land, transforming it into a bustling commercial district. Visitors can take in the serene beauty of the sunset over the Arabian Sea while savoring delicious treats from the local food stalls. Nariman Point truly offers a blend of luxury and natural charm.

Chatrapati Shivaji Maharaj Terminus

A must-visit for any history or architecture enthusiast, the UNESCO World Heritage site, Chhatrapati Shivaji Maharaj Terminus (CSMT), is an iconic landmark in Mumbai. Formerly known as Victoria Terminus, this stunning structure, built during the British colonial era, showcases an exquisite blend of Victorian Gothic architecture. It stands as a testament to Mumbai’s rich colonial past. To make your visit even more memorable, hop on one of the double-decker buses or take a local train from here to explore the city with your family. CSMT is not just a railway station, but an architectural marvel you can’t miss!

Siddhi Vinayak Temple

Siddhi Vinayak Temple, one of the most auspicious and revered places in Mumbai, was originally built in 1801 and later remodeled in 1993. The temple is dedicated to Lord Ganesha, with his throne adorned in a stunning amount of gold, making it a major attraction for visitors. Not only is it popular among travelers, but it's also a frequent stop for celebrities who come to seek blessings. A visit to this sacred temple is a must during your family trip to Mumbai, as you experience both spiritual serenity and Mumbai’s vibrant culture.

Haji Ali Dargah

Another prominent religious shrine in Mumbai, Haji Ali Dargah, is home to the tomb of Sayed Peer Haji Ali Shah Bukhari. This stunning structure, crafted from white marble, is a remarkable example of Indo-Islamic architecture. Nestled in the middle of the Arabian Sea, the Dargah is accessible via a causeway that is sometimes submerged by high tides, adding a unique allure for visitors. When visiting, it is norms to cover your head with a dupatta or cloth, and take a moment to soak in the peaceful Sufi atmosphere, enhanced by the soulful melodies that fill the air.

Bandra Worli Sea Link

Step onto the Bandra-Worli Sea Link in the evening to witness the breathtaking views reminiscent of the Brooklyn Bridge or the Sydney Opera House, right here in Mumbai. This eight-lane suspension bridge, completed in 2009, stretches across the open sea, connecting the central business district with the western suburbs, easing traffic on the Mahim Causeway. While you're here, don't miss the historic Bandra Fort, built by the Portuguese in 1640, located at one end of the Sea Link. It's one of Mumbai's must-visit tourist spots, offering a unique blend of modern engineering and historical charm.

Sanjay Gandhi National Park

Sanjay Gandhi National Park is a must-visit destination for families in Mumbai. Located in Borivali and covering a vast area of 104 sq km, it is one of the most visited national parks in Asia. This park provides an excellent opportunity to introduce your children to wildlife through an exciting safari experience. For a nominal fee, hop on a safari bus and explore a variety of animals, including mammals, reptiles, birds, and colorful butterflies. For a more adventurous experience, rent a bicycle and try spotting the park’s majestic big cats. To help preserve the park’s pristine environment, avoid bringing packaged food inside.

Entry Fees: INR 48 for adults, INR 25 for children (above 5 years)

Safari Bus Fair: INR 60 for adults, INR 30 for children (above 5 years)

Entry Time: 7am to 6:0pm (Except Monday)

Kanheri Caves

Located within Sanjay Gandhi National Park, the Kanheri Caves are renowned for their rich Buddhist architecture. These ancient caves, totaling 109 in number, date back to between the 1st century BCE and the 10th century CE, and are dedicated to Buddhist art, culture, and religious practices. Situated about 7 km from the park's main entrance, you’ll need to take a ride to explore this famous tourist spot in Mumbai. While you're there, be sure to appreciate the intricate carvings and stupas, but also stay cautious of the playful monkeys that frequent the area.

Mahalakshmi Temple

A family trip to Mumbai is complete without a visit to the revered Mahalaxmi Temple, located on Bhulabhai Desai Road in the Mahalaxmi area. Dedicated to the goddess of wealth, this temple holds deep significance for devotees. Built in 1831 by a Hindu merchant, Dhakji Dadji, the temple enshrines three deities—Goddess Mahalakshmi, Goddess Mahakali, and Goddess Mahasaraswati—adorned with stunning ornaments. The temple is especially crowded during Navaratri when devotees flock to seek blessings. If you wish to offer prayers, you can easily purchase garlands, sweets, and other offerings from within the temple premises.

Global Vipassana Pagoda

The Global Vipassana Pagoda, boasting the largest dome in the world with an 85.15-meter diameter, stands as a symbol of peace and harmony. Inaugurated by Pratibha Devi Singh Patil in 2009, this magnificent structure is dedicated to spreading the teachings of Buddhist philosophy and Vipassana meditation, practiced by monks.

Located in North Mumbai, between Gorai Creek and the Arabian Sea, this spiritual center is a must-visit destination for those seeking tranquility. Visitors can explore the vast meditation hall, video gallery, museum, library, and gift shop within the complex. The pagoda's awe-inspiring golden dome and majestic archway make it a photogenic landmark. While there is no entry fee, maintaining silence inside the pagoda is essential. They also offer online wellness and meditation classes, making it an ideal place to deepen your understanding of Buddhist philosophy.

Entry Time: 9am to 6:30pm

Bottom Line

Mumbai is a vibrant city that draws people for many different reasons, offering a mix of excitement and charm. Whether it's for its rich history, cultural landmarks, or thrilling activities, Mumbai is the perfect destination for your Puja vacation. The top 10 must-visit places in Mumbai listed above will ensure that your trip is truly memorable.

 Stay connected with us and let your travel-loving spirit flourish as you explore more incredible destinations!

Picture Courtesy :

·         Shutter Bug S. Dutta’s Photography
·         TripSavy.com
·         Adobe Stock
·         Alamy
·         Mahalakshmi Temple